ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) জলসীমায় অনুমতিহীন প্রবেশ ও মাছ ধরার অভিযোগে তিনটি নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। ১৫ ও ১৬ নভেম্বর টহল অভিযানের সময় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
ভারতীয় কোস্টগার্ডের দাবি, আটক জেলেরা কোনো অনুমতিপত্র ছাড়াই ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরছিলেন। নৌকাগুলোর ভেতর তাজা মাছ, জাল, বরফ এবং বিভিন্ন মাছ ধরার সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এগুলো জব্দ করে জেলেদের ফ্রাজেরগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যায় কোস্টগার্ড। পরে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইন অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশি জেলেদের আটকের ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই সীমান্তবর্তী জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে ভারতীয় কোস্টগার্ড অভিযান চালায়। স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ—অনেক সময় আন্তর্জাতিক সীমানা স্পষ্ট না থাকায় অসাবধানতাবশত জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এমনকি বাংলাদেশের জলসীমা থেকে জেলেদের ধরে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২৩ অক্টোবর মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন গভীর সমুদ্র এলাকা থেকে ‘এফবি এনি’ নামের একটি ভারতীয় ট্রলার আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ওই ট্রলার থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ এলাকার ৯ ভারতীয় জেলেকে জিম্মায় নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমানা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। কারণ বঙ্গোপসাগরে মাছের সন্ধানে সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় উভয় দেশের জেলেদের চলাচল বেড়ে যাচ্ছে, যা সংঘাতের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র: দ্য হিন্দু
সিএ/এমআরএফ


