
বদরুল ইসলাম (বরগুনা)
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ১২ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, আইসিইউ স্থাপন এবং চিকিৎসক ও নার্স সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বক্তাদের।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধনে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম, আমাদের জন্য আমরা, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, জেরিন স্মৃতি কেয়ার, মানবিক বরগুনা এবং বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বরগুনা শাখা অংশগ্রহণ করে।
সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হারুন অর রশিদ রিংকুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রেজওয়ানুর আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজবুল কবির, হুমায়ূন হাসান শাহীন, জেলা জামায়াতের আমির মহিব্বুল্লাহ হারুন, স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, রোগী কল্যাণ সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরগুনা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা আসমা, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বরগুনা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির বরগুনা জেলা শাখার সেক্রেটারি গাজী হোসাইন, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির, জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুশফিক আরিফ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম হায়দার স্বপন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বরগুনা জেলার মানুষের চিকিৎসা অবস্থা দিন দিন সংকটময় হয়ে উঠছে। এখানে চিকিৎসকের ঘাটতি, পর্যাপ্ত নার্স না থাকা, আইসিইউ সুবিধার অনুপস্থিতি এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে মানুষ অনেক সময় মৃত্যুর মুখে পড়ছে। তারা বলেন, অবিলম্বে বরগুনায় একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি আদায় না হলে আগামীতে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও রোগীর চাপ এবং চিকিৎসা সংকট বিবেচনায় তা অপ্রতুল। এই প্রেক্ষাপটে জেলার সচেতন মহল, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা অবকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।