ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) নিজের সামর্থ্যের পূর্ণ ঝলক দেখালেন সাকিব আল হাসান। অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচে বিবর্ণ থাকলেও ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়ে আবারও প্রমাণ করলেন— ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্যাটে ও বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। বল হাতে চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। কোনো বাউন্ডারি হজম না করে দেন ১২টি ডট বল। ভাইপার্সের ওপেনার ফখর জামানকে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ বানিয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেট পান সাকিব। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান স্যাম কারানকে।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বিপাকে পড়ে এমআই এমিরেটস। ৫৩ রানে চার উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন সাকিব। চাপের মুহূর্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর একমাত্র চারেই জয় নিশ্চিত হয় এমআই এমিরেটসের।
এই পারফরম্যান্সের সুবাদেই ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে সাকিবের হাতে। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪৫তমবার ম্যাচসেরা হলেন তিনি। এতে করে আন্দ্রে রাসেলকে পেছনে ফেলে অ্যালেক্স হেলস ও রশিদ খানের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন সাকিব। হেলস ও রশিদ যথাক্রমে ৫২৪ ও ৫০৪ ম্যাচ খেলে ৪৫ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন, আর সাকিবের ম্যাচসংখ্যা ৪৬৫।
টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরা পুরস্কারের তালিকায় সাকিবদের ওপরে আছেন শুধু তিনজন। ৪৮ বার ম্যাচসেরা হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কিয়েরন পোলার্ড। শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ক্রিস গেইল—৬০ বার ম্যাচসেরা।
উল্লেখ্য, এর আগে সাকিব সর্বশেষ ম্যাচসেরা হয়েছিলেন গত বছরের আগস্টে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। এরপর সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উইকেটখরায় ভুগলেও এবার সেই খরা কাটালেন স্টাইলের সঙ্গে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, স্পিনের জন্য পিচ সহায়ক ছিল, তবে ব্যাটিং করাও সহজ ছিল না। দলে শক্তিশালী ব্যাটার থাকায় তিনি দায়িত্বশীলভাবে খেলেছেন বলে জানান। সব মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিএ/জেএইচ


