অ্যাশেজে ইংলিশ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি দেখে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের খুশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ব্রিসবেন টেস্টে ঘটল ঠিক উল্টোটা। জো রুটের সেঞ্চুরি দেখে নিজেকে ‘খুব সুখী মানুষ’ মনে করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। এর পেছনে রয়েছে এক মজার ঘটনা।
গত মাসে ‘অল ওভার বার দ্য ক্রিকেট’ পডকাস্টে গ্রেগ ব্লিউয়েট ও জেমস ব্রাইশকে হেইডেন মজা করে বলেছিলেন, “এই গ্রীষ্মে রুট যদি সেঞ্চুরি না পায়, আমি নগ্ন হয়ে এমসিজিতে হাঁটব।” ইংল্যান্ডের এবারের সফরের আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রুটের ২৯ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। পার্থে প্রথম টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেইডেনকে অনেকেই সেই মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ফলে হেইডেনের দুশ্চিন্তা বাড়ছিল।
অবশেষে ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টে রুটের দুর্দান্ত ব্যাটিং হেইডেনকে মুক্তির স্বস্তি এনে দেয়। প্রথম দিনে ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকা রুট দ্বিতীয়দিন ১৩৮ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। টেস্টে এটি তার ৪০তম সেঞ্চুরি।
রুটের এই ইনিংস হেইডেনকে যেমন বাঁচিয়েছে, তেমনি স্বস্তি দিয়েছে তার পরিবারকেও। টিএনটি স্পোর্টসকে হেইডেন বলেন, “রুটের সেঞ্চুরিতে আমার জীবনে দুজন মানুষ সবচেয়ে বেশি খুশি—আমার স্ত্রী ও কন্যা। তারা কোনোভাবেই চাইছিল না যে বাজির সেই ঘটনা সত্যি হোক।”
রুট কী করতে পারেন, তার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন হেইডেন, “১৩ হাজার ৫০০ রানের মতো সংগ্রহ থাকলে জানা যায়—রুট যেভাবেই হোক ফিরবেই।”
টেস্টের প্রথম ম্যাচে রুট করেছিলেন ০ ও ৮। তখন কি দুশ্চিন্তা ছিল? হেইডেনের স্বীকারোক্তি, “অবশ্যই। ওই ইনিংস দুটিতে আমি জো রুটকে চিনতেই পারিনি।”
হেইডেনের মেয়ে, জনপ্রিয় ক্রিকেট সঞ্চালক গ্রেস হেইডেন, রুটের সেঞ্চুরিতে যেন সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পেয়েছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি ভিডিও বার্তায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান আর ক্যাপশনে লেখেন, “আমাদের সবার চোখ বাঁচানোর জন্য রুটকে ধন্যবাদ।”


