বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্তে গঠিত স্বাধীন কমিটি তাদের ৯০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাতে জমা দিয়েছে। বিসিবি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত আগস্টে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে তা সম্ভব হয়নি। এক মাসের বিলম্বে অবশেষে বিসিবির হাতে পৌঁছেছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিক্সিং সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও বিসিবির পরিচালনাগত নানা দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাঠামো ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা বৃদ্ধি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনাসহ একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ প্রস্তাব করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি মনে করে, এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করলে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
তবে বিসিবি জানিয়েছে, তদন্তের সব তথ্য এখনই প্রকাশ করা হবে না। সংস্থাটি আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ফিক্সিং বিরোধী উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে বিসিবি ইতিমধ্যে ‘বিসিবি ইন্টিগ্রিটি ইউনিট’ (বিসিবিআইইউ) গঠন করেছে। এই ইউনিটের নেতৃত্বে থাকবেন একজন স্বাধীন চেয়ারম্যান, যিনি ভবিষ্যতে ক্রিকেটে সুশাসন নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
সিএ/এমআর


