ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড বলেছেন, ফুটবলে দীর্ঘ সময় শীর্ষ পর্যায়ে টিকে থাকার ক্ষেত্রে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসিই তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলারের পেশাদারিত্ব, প্রস্তুতি ও জীবনযাপনই তাঁকে প্রতিদিন আরও ভালো করার প্রেরণা দেয় বলে জানান নরওয়েজিয়ান এই গোলমেশিন।
টিএনটি ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হালান্ড বলেন, এই গ্রহের প্রতিটি ফুটবলারের জন্যই রোনালদো ও মেসি আদর্শ। কীভাবে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হয়, কীভাবে নিয়মিত পরিশ্রম করে বিশ্বের সেরা লিগগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সর্বোচ্চ মানের পারফরম্যান্স দেওয়া যায়—সবকিছুই তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন।
৪০ বছর বয়সী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ইতোমধ্যে ক্যারিয়ারে ৯৫০টির বেশি গোল করেছেন। সামনে ২০২৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরের সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়েছেন রোনালদো, যা প্রমাণ করে বয়স কেবলই একটি সংখ্যা।
অন্যদিকে, ৩৮ বছর বয়সী লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামির হয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জেতান। পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় মৌসুমে এমএলএসের সেরা খেলোয়াড় (এমভিপি) এবং গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি।
হালান্ড বলেন, রোনালদো ও মেসি দুজনই অনুপ্রেরণাদায়ী। বিশেষ করে রোনালদো নিজের জীবনযাপন, অনুশীলন ও শরীরের যত্ন নেওয়ার বিষয়গুলো যেভাবে তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। ৪০ বছর বয়সেও যে মানে তিনি খেলছেন, সেটি কোনোভাবেই সহজ নয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করে আলোচনায় আসেন ২৫ বছর বয়সী হালান্ড। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পেনাল্টি থেকে করা সেই গোলটি ছিল এই স্টেডিয়ামে তাঁর প্রথম গোল, যা ম্যানচেস্টার সিটিকে ২–১ ব্যবধানে জয় এনে দেয়। এ নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫৪ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫।
ম্যাচ শেষে হালান্ড বলেন, বার্নাব্যুতে খেলতে নামা সবসময়ই বিশেষ অনুভূতির। ক্লাবটির ইতিহাস ও সাফল্য অসাধারণ। সেখানে প্রথমবার জয় পাওয়া এবং প্রথম গোল করা—দুটোই তাঁর ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
এদিকে আগামী বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে আছেন হালান্ড। বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি নরওয়েকে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন। প্রতি ম্যাচে গড়ে দুই গোল করে দলকে আবার বিশ্বমঞ্চে ফেরান এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ নিয়ে হালান্ড বলেন, তিনি সাধারণত বিয়ার পছন্দ করেন না। তবে ২৮ বছর পর নরওয়ে বিশ্বকাপে ওঠায় সেদিন ব্যতিক্রমী উদযাপন করেছিলেন। তাঁর ভাষায়, প্রথমবার নিজের দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেওয়াটা সত্যিই দারুণ হবে।
সিএ/এএ


