এমএলএস কাপের ফাইনাল ঠিক যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলেন, ঠিক তেমনই পাচ্ছেন থমাস মুলার। ৬ ডিসেম্বর শিরোপা লড়াইয়ে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে ম্যাচটিকে জার্মান ফরোয়ার্ড আখ্যা দিয়েছেন ‘পারফেক্ট ফাইনাল’ হিসেবে।
ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসের এই তারকা ম্যাচকে সামনে রেখে বলেন,
“আমি মনে করি এটি দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। গণমাধ্যম, লিগ—সবাই অবশ্যই মেসি আর আমাকে ঘিরেই আলোচনা করবে। কিন্তু আসল বিষয় হলো, দুটি দলই দারুণ আক্রমণাত্মক ও আকর্ষণীয় ফুটবল খেলছে। আমার চোখে এটা এক নিখুঁত ফাইনাল। এর অংশ হতে পারা সত্যিই আনন্দের।”
মুলার মাঠে আগেও বহুবার মুখোমুখি হয়েছেন লিওনেল মেসি, জর্ডি আলবা, সের্জিও বুসকেটস ও লুইস সুয়ারেসের। ২০২০ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের ঐতিহাসিক ৮–২ জয়ের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ মেসির বিপক্ষে খেলেন ২০২৩ সালের ৮ মার্চ, পিএসজি–বায়ার্ন ম্যাচে।
পুরোনো প্রতিপক্ষদের আবার দেখাকে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন মুলার।
তিনি বলেন, “খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও আমরা একে অপরকে বহু বছর ধরে দেখছি। তারা সবাই অসাধারণ খেলোয়াড়। অতীতের ফল এখন কোনো প্রভাব ফেলবে না, তবে স্মৃতিগুলো সবসময় সুন্দর।”
মেসির দলগুলোর বিপক্ষে মুলারের ব্যক্তিগত রেকর্ড– ৭ জয়, ৩ হার।
২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪–০ গোলে হারানো এবং ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ১–০ গোলের জয়ে শিরোপা জয়ের স্মৃতি এখনো উজ্জ্বল। সে দুই ম্যাচেই আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে ছিলেন বর্তমান ইন্টার মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো।
মুলারের নাম শুনে মাসচেরানোর প্রতিক্রিয়া—
“তার বিরুদ্ধে আমার স্মৃতি খুব ভালো না। জাতীয় দলে বা ক্লাব ফুটবলে—মুলারকে বহুবার মোকাবিলা করেছি। সে তার জেনারেশনের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। শুধু ভ্যানকুভারের জন্য নয়, পুরো লিগের জন্যই তার উপস্থিতি মর্যাদাপূর্ণ। আশা করি এবার ভাগ্য আমাদের দিকে থাকবে।”
যদিও অতীত রেকর্ড নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তবু সেসব নিয়ে ভাবতে চান না মুলার।
তার ভাষায়, “ইতিহাস তো বইয়ে লেখা। সেসব অভিজ্ঞতা দারুণ হলেও শনিবারের ম্যাচে এগুলো কোনো কাজে আসবে না। আমাদের দল মৌসুমে দুবার ইন্টার মায়ামিকে হারালেও তা চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ করে না। সব ঠিক হবে মাঠেই।”
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ইন্টার মায়ামিকে ৫–১ ব্যবধানে বিদায় করেছিল হোয়াইটক্যাপস। তবু সতর্ক মুলার বলে দিয়েছেন—
“শনিবারের ম্যাচ সম্পূর্ণ আলাদা হবে। অতীতের জয় আত্মবিশ্বাস দেয় ঠিকই, কিন্তু সব সিদ্ধান্ত হবে ৯০ মিনিটে। আশা করি ম্যাচ শেষে আমরা ভালো কিছুরই কথা বলব।”


