২০০৭ এ ইন্ডিয়ার বিপক্ষে অভিষেকের পর প্রথম তিন টেস্টে উইকেট শূন্য। পরে তিন টেস্টে সাকুল্যে মোট তিনটি উইকেট। টিমে এসেছেন টুকটাক হাত ঘুরাতে জানেন এমন ব্যাটসম্যান হিসেবে।
কোচ জেমি সিডন্সের হাত ধরেই আবিষ্কৃত হলো অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। অভিষেকের পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়ে ফেললেন গুনে গুনে মোট সাতটি উইকেট। সেদিন থেকেই শুরু হলো রূপকথার খাতায় একেকটি “সাকিবীয় পাণ্ডুলিপি”। সেই পাণ্ডুলিপিতে আবারও খোঁচা মেরে স্থান করে নিলেন ইতিহাসের পাতায়। চতুর্থতম খেলোয়াড় হিসেবে নয়টি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব সাকিবের। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক হয়েছেন মুত্তিয়া মুরালি ধরন, রঙ্গনা হেরাথ ও ডেল স্টেইন।
এই রেকর্ড গড়তে মুরালির লেগেছিল ৬৬ টেস্ট, হেরাথ ও স্টেইনের ৭৫ টেস্ট। তাদের এই রেকর্ডে ভাগ বসাতে সাকিবের লাগলো মাত্র ৫০ টেস্ট। ৮টি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন অনেক আগেই। বাকি ছিলো শুধু অস্ট্রেলিয়া। এবার প্রথম দেখাতেই পাঁচ উইকেট নিয়ে ষোলকলা পূর্ণ করে ছাড়লেন। টেস্ট পরিবারে সদ্য যুক্ত হওয়া আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের সাথে পাঁচ উইকেট নিতে পারলে তিনিই হবেন ১২ টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে একমাত্র পাঁচ উইকেট নেওয়া বোলার।
চলমান অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের ১ম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশের স্পিন ঘূর্ণিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছিল টিম অস্ট্রেলিয়া। প্রথমদিন “নাইট ওয়াচম্যান” হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা নাথান লায়নকে ফিরিয়ে ইতিহাস রচনার পথে যাত্রা শুরু করলেন। পরেরদিন একের পর এক লাইফ পেয়ে ক্রমেই ভয়ানক হয়ে ওঠা ম্যাট রেনশো কে ফিরিয়ে অজি শিবিরে দ্বিতীয় থাবাটি বসান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে দারুণভাবে বোকা বানিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে অজিদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। লেজ ধরে রাখা প্যাট কামিন্স ও সর্বশেষ জশ হ্যাজেলউডকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করলেন। আসমানের দিকে তাকিয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আন্দদের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন।