অনলাইন ডেটিং অ্যাপের জগতে টিন্ডার, বাম্বল বা হিঞ্জের নাম বেশি শোনা গেলেও ফেসবুকের ডেটিং ফিচার ধীরে ধীরে তরুণদের মন জয় করছে। ২০১৯ সালে চালু হওয়া ফেসবুক ডেটিং এর ব্যবহার নিয়ে এতদিন তেমন প্রচারণা বা আলোচনায় আসেনি। তবে সম্প্রতি মেটা প্রথমবারের মতো এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ফেসবুক ডেটিংয়ে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লাখ এবং এটি ৫২টি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফেসবুক ডেটিং আলাদা কোনো অ্যাপ নয়। এটি ফেসবুক অ্যাপের মধ্যেই সংযুক্ত একটি ফিচার, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। বিশেষত্ব হলো, ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে ‘সিঙ্গেল’ স্ট্যাটাস না থাকলেও এই ফিচার ব্যবহার করা যায়।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যবহার বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ ৭৭ হাজার। যদিও এটি টিন্ডার বা বাম্বলের মতো প্রধান প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে এখনও সমপর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবুও গত এক বছরে তরুণদের দৈনিক কথোপকথনের সংখ্যা প্রায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অ্যাপ অ্যানালিটিকস প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে টিন্ডারের সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭৩ লাখ, হিঞ্জের ৪৪ লাখ, বাম্বলের ৩৬ লাখ এবং গ্রাইন্ডারের ২২ লাখ। এই তুলনায় ফেসবুক ডেটিং এখনো ছোটখাটো মনে হলেও এর ফ্রি মডেল তরুণদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। এখানে পছন্দের ম্যাচ আনলক করতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয় না, যা অন্য অ্যাপের প্রিমিয়াম ফিচারের সঙ্গে তুলনায় সহজ এবং স্বচ্ছ।
ফেসবুক ডেটিং ব্যবহারকারীরা বলছেন, এটি যোগাযোগের প্রক্রিয়াকে আরও স্বস্তিদায়ক ও ঝামেলাহীন করে। এছাড়া ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের কারণে ব্যবহারকারীরা পরিচিতি ও নিরাপত্তা সম্পর্কেও আশ্বস্ত থাকেন।
যদিও এটি এখনও মূলধারার ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো জনপ্রিয় নয়, তবে ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী সংখ্যা, তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ এবং বিনামূল্যে ব্যবহারের সুবিধা লক্ষ্য করলে বলা যায়—ফেসবুক ডেটিং অনলাইন প্রেম খোঁজার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলেছে।
সিএ/এমআরএফ


