ইনস্টাগ্রামে যুক্ত হচ্ছে নতুন নিরাপত্তা ফিচার, যার মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এআই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করতে পারবেন। শুক্রবার মেটা জানায়, আগামী বছর থেকে এই ফিচার ধাপে ধাপে চালু করা হবে।
নতুন ফিচার অনুযায়ী, অভিভাবকরা চাইলে কিশোর ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট কোনো এআই চরিত্রের সঙ্গে চ্যাট বন্ধ করতে পারবেন অথবা একেবারে সব ধরনের এআই চ্যাট অপশন নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন। এছাড়া তারা দেখতে পাবেন সন্তানরা কোন বিষয়ে এআই বটের সঙ্গে কথা বলছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলোতে দেখা গেছে, অনেক কিশোর-কিশোরী এআই চ্যাটবটের সঙ্গে ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করে বাস্তব জীবনে একাকিত্বে ভুগছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
জনপ্রিয় ক্যারেক্টার এআই অ্যাপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে—যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, প্ল্যাটফর্মটি পরোক্ষভাবে কিছু কিশোরের আত্মহত্যা ও আত্মক্ষতির জন্য দায়ী। একইভাবে, ২০২৫ সালের আগস্টে ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইন নামে এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনার পর ওপেনএআই–এর বিরুদ্ধেও মামলা হয়।
এপ্রিল মাসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেটার কিছু চ্যাটবট অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেও শনাক্ত অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অনুপযুক্ত কথোপকথনে জড়িয়ে পড়েছিল।
মেটা জানিয়েছে, তাদের এআই চরিত্রগুলো আত্মহত্যা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা যৌন বিষয়ক আলোচনায় অংশ না নেওয়ার মতোভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। কিশোররা শুধুমাত্র শিক্ষা, ক্রীড়া, সাধারণ জ্ঞান ও বিনোদন–সংক্রান্ত নিরাপদ বিষয় নিয়ে এসব চরিত্রের সঙ্গে আলাপ করতে পারবে।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম তাদের “টিন অ্যাকাউন্ট” সেটিংসকে পিজি-১৩ মান অনুযায়ী সাজিয়েছে, যাতে কিশোরদের সামনে অশালীন ভাষা, সহিংসতা বা ক্ষতিকর আচরণসম্পর্কিত কনটেন্ট প্রদর্শিত না হয়।
অন্যদিকে, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ওপেনএআই তাদের চ্যাটজিপিটির জন্য প্যারেন্টাল কন্ট্রোল চালু করে, যা গ্রাফিক কনটেন্ট, ভাইরাল চ্যালেঞ্জ, যৌন বা সহিংস রোল প্লে এবং বিকৃত সৌন্দর্য ধারণা কমিয়ে দেয়।
মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই নতুন ফিচারের মূল লক্ষ্য কিশোরদের মানসিক সুস্থতা রক্ষা করা এবং অভিভাবকদের হাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া।” আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে এই সুবিধাগুলো ইনস্টাগ্রামে যোগ করা হবে।
সিএ/এমআর