গুগলের সহ–প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ প্রথমবারের মতো বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন—এখন তিনি ধনী তালিকায় নতুন ইতিহাস গড়ছেন। ফোর্বসের তথ্যমতে, ডিসেম্বরের ১ তারিখে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬২ বিলিয়ন ডলার। এক মাসে তার সম্পদ বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার, যার প্রধান কারণ অ্যালফাবেটের এআই প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি। এ সময়ের মধ্যে তিনি ওরাকল সহ–প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনকে পেছনে ফেলেছেন।
বাজারের ওঠানামা অব্যাহত থাকলেও শীর্ষ ধনীদের তালিকায় প্রযুক্তি খাতের প্রভাব আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর ৯ জনই প্রযুক্তি খাতের সঙ্গে যুক্ত।
৫২ বছর বয়সী ল্যারি পেজ বহুদিন ধরেই জনসম্মুখে খুব কমই কথা বলেন। তিনি সেনেটের শুনানিতেও অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১৪ সালের টেড টক–এর পর থেকে তিনি কোনো বড় বক্তৃতা দেননি। অ্যালফাবেটের দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকেও দূরে সরে এসে এখন তিনি ‘কিটি হক’–এর মতো উড়ন্ত ট্যাক্সি প্রকল্পসহ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছেন।
এদিকে ইলন মাস্ক এখনও বিশ্বের শীর্ষ ধনী। ফোর্বসের হিসাবে তার সম্পদ ৪৮৩ বিলিয়ন ডলার। টেসলার ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ নিয়ে বিতর্ক ও এক্সএআই–এর মূল্যায়ন বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও তিনি শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছেন। মাস্ক বলেন, ‘টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্সএআই—সবই আমার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। সব জায়গায় আমি আরও এগোতে চাই।’
এ তালিকার শীর্ষ ১০ ধনীর সবাই পুরুষ এবং প্রত্যেকের সম্পদই ১৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আগের মাসের তুলনায় তাদের মোট সম্পদ কিছুটা কমলেও তা এখনো ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের অক্টোবরে বিল গেটস শীর্ষ ১০ থেকে বাদ পড়েন। নতুন মূল্যায়নে ফোর্বস তার সম্পদ উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখায়। শেয়ারবাজারের ওঠানামার কারণে এসব হিসাব প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে।
সিএ/এএ
ছবি: সংগৃহীত


