দুইদিনের ব্যবধানে ঢাকায় তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রথম ভূমিকম্পের কম্পনে রাজধানীবাসী আতঙ্কিত হন। এরপর শনিবার সকাল ও সন্ধ্যায় আরও দুটি কম্পন অনুভূত হয়। নিজ ফেসবুকে ভূমিকম্প নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেয়া ওই স্ট্যাটাসে আজহারী বলেন, সকালের কম্পনে যখন ভবন দুলছিল, তখন কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। আতঙ্কে বুক কাঁপছিল, আর যদি আরও কিছু ঝাঁকুনি আসে, ঢাকায় নিঃসন্দেহে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। তিনি বলেন, দয়াময় আল্লাহর কৃপায় এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছি।
আজহারী আরও বলেন, নগরীর অপরিকল্পিত অবকাঠামো, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং দুর্বল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মধ্যেও আল্লাহর দয়াই মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এই দুর্যোগগুলো মানুষের জন্য সতর্কবার্তা স্বরূপ। তিনি জানান, মাত্র কয়েকটি ঝাঁকুনি দিয়ে আল্লাহ মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, বাড়াবাড়ি সীমালঙ্ঘন বা সভ্যতা যতই উন্নত হোক, মহাশক্তিধর আল্লাহর সামনে মানুষ অসহায়।
তিনি কোরআনের আলোকে বলেন, মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। ভূমিকম্প আমাদের অহংকার মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে মানুষের অক্ষমতা প্রকাশ করে। এটি দেখায়, আমরা কতটা অসহায় এবং মহাপ্রতাপশালী আল্লাহর কাছে নিরুপায়। আল্লাহ এমন এক শক্তি যার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে না।
আজহারী আরও বলেন, জুমার দিনে (শুক্রবার, ২১ নভেম্বর) অনেকের পরিকল্পনা ছিল, ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু কেউ ফিরে আসেনি। বেঁচে থাকা আল্লাহর দয়ার প্রমাণ। মানুষ সচেতন হয় না যে, মৃত্যু কখন আসবে তা কেউ জানে না। তাই সর্বদা প্রস্তুত থাকা, তওবা করা এবং আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠভাবে সমর্পিত থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, এ ভূমিকম্প সামান্য ঘটনা মাত্র। প্রকৃত ভূমিকম্প হবে সেই সময়, যখন জমিন প্রবলভাবে কম্পিত হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ধূলিকণায় পরিণত হবে। (সুরা আল ওয়াকিয়াহ: ৪–৬)
সিএ/এমআরএফ


