অঙ্গ প্রতিস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হলো দেশে। সদ্য পাস হওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, এখন থেকে আত্মীয় নন এমন ঘনিষ্ঠ বা ‘ইমোশনাল ডোনার’-ও অঙ্গ দিতে পারবেন। তবে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবে সাত সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, অঙ্গদাতার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। আত্মীয়দের মধ্যে ভাগনে-ভাগনি, ভাতিজা-ভাতিজি ও সৎ ভাইবোনদেরও এখন থেকে অঙ্গ দেওয়ার সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি, দুই গ্রহীতা ও তাদের আত্মীয়দের মধ্যে রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে সোয়াপ ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাও যাবে।
সবচেয়ে বড় সংযোজন হলো ‘ইমোশনাল ডোনার’। কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কারও ঘনিষ্ঠ হন, তবে তিনি অঙ্গ দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দাতার সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা, মানসিক সুস্থতা, এবং অঙ্গগ্রহীতার সঙ্গে সম্পর্কের প্রকৃতি যাচাই করা হবে।
এই যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকবে জাতীয় কমিটি, যার প্রধান হবেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)। সদস্য হিসেবে থাকবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সদস্য সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পুলিশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, “অঙ্গদানের ক্ষেত্রে আত্মীয়তা যাচাই একটি জটিল বিষয়। তাই শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে আর্থিক লেনদেন ছাড়া শুধুমাত্র মানবিক ভিত্তিতে অঙ্গদান নিশ্চিত করা যায়।”
অঙ্গ বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকলে দুই থেকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। দেশে প্রথম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন করা হয় ১৯৯৯ সালে; পরে ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়।
সিএ/এমআর


