পেট ফুলে যাওয়া, অ্যাসিডিটি, ধীর হজম এবং অনিয়মিত মলত্যাগের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এই সমস্যা দূর করার জন্য খাদ্যাভ্যাস, হাইড্রেশন এবং দৈনন্দিন রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। হজম ভালো হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে, যা সুস্থ থাকা ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পেট ভালো রাখতে কী কী করতে হবে—
১. হালকা ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিন শুরু করুন
লেবু, আদা বা জিরা মিশ্রিত হালকা গরম পানি দিয়ে সকাল শুরু করুন। এই উপাদানগুলো হজমকে উদ্দীপিত করে, জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং লিভারের কার্যকারিতা সহজ করে। খালি পেটে পান করলে এটি সারাদিন হজমশক্তি ভালো রাখে।
২. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খান
অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রোবায়োটিক গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় দই, বাটারমিল্ক, ইডলি, গাঁজানো ভাত বা ঘরে তৈরি আচার যোগ করুন। এসব খাবার হজমশক্তি উন্নত করে, পেট ফাঁপা কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. ধীরে ধীরে চিনি ও ক্যাফেইন কমিয়ে দিন
চা, কফি ও মিষ্টির অতিরিক্ত ব্যবহার অ্যাসিডিটি তৈরি করতে পারে। ধীরে ধীরে এগুলোর পরিমাণ কমালে হজমের ভারসাম্য ফিরে আসে। চাইলে ভেষজ ইনফিউশন যেমন মৌরি, ক্যামোমাইল বা আদা চা পান করতে পারেন। এগুলো হজমে সহায়তা করে ও প্রদাহ কমায়।
৪. হালকা, আঁশযুক্ত খাবারকে অগ্রাধিকার দিন
শাক-সবজি, ডাল, স্যুপ বা খিচুড়ির মতো হালকা খাবার হজমে সহজ এবং পেট ফুলে যাওয়া রোধ করে। ওটস, স্প্রাউট ও সাবুদানার মতো ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যা অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫. খাবারের সময় ঠিক রাখুন
অনিয়মিত সময়ে খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। নিয়মিত সময় মেনে খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। এতে শরীর খাবার দক্ষতার সঙ্গে প্রক্রিয়া করতে পারে ও পেট ফুলে যাওয়া কমে।
সিএ/এমআর