উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার আলু ঘাটি এখন দেশের নানা প্রান্তে পরিচিত একটি নাম। একসময় এই পদটি মূলত নিরামিষ কিংবা মাছ দিয়ে রান্না হলেও বর্তমানে মাংসের আলু ঘাটিও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে গরুর মাংস দিয়ে রান্না করা আলু ঘাটির স্বাদ আলাদা মাত্রা যোগ করে খাবারের টেবিলে। ঝোলঘন এই রান্নায় আলুর নরম ভাব ও মাংসের গভীর স্বাদ মিলেমিশে তৈরি করে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।
গরুর মাংস দিয়ে আলু ঘাটি তৈরিতে প্রয়োজন হয় মাঝারি পরিমাণ মসলা ও সহজ কিছু উপকরণ। আধা কেজি গরুর মাংসের সঙ্গে ১০ থেকে ১২টি আলু ব্যবহার করা হয়। রান্নায় লাগে আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি, এক টেবিল চামচ করে আদা ও রসুন বাটা, দেড় টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়া, পরিমাণমতো তেল, ২-৩ টুকরা দারুচিনি, ২-৩টি তেজপাতা, ৩-৪টি এলাচ, সামান্য হলুদের গুঁড়া, এক চা চামচ করে ধনে ও জিরার গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও লবণ স্বাদ অনুযায়ী।
রান্নার শুরুতে আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে হালকা ভেঙে রাখতে হয়। এরপর হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিতে হয়। পেঁয়াজ বাদামি হলে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচ যোগ করা হয়। এরপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে অল্প পানি দিয়ে কষাতে হয়। মসলা কষানো হলে লবণ, মরিচ, হলুদ, জিরা ও ধনে গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হয়।
মসলা কষানো শেষ হলে গরুর মাংস দিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে এতে ভেঙে রাখা আলু যোগ করা হয়। এরপর আবার কষিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঝোল তৈরি করা হয়। শেষে কয়েকটি কাঁচামরিচ দিয়ে ১০ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিতে হয়। পরিবেশনের আগে আলাদা একটি কড়াইয়ে সামান্য তেলে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি ভেজে ফোড়ন দিলে আলু ঘাটির স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
সিএ/বিই


