Home আন্তর্জাতিক মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে বিপর্যয়ের মুখে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি খাত

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে বিপর্যয়ের মুখে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি খাত

0

ভারতের অন্যতম প্রধান কৃষি রপ্তানি খাত চিংড়ি শিল্প বর্তমানে গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের imposed প্রতিশোধমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় চিংড়ি রপ্তানির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এই খাতের প্রতিনিধিত্বকারী সিফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ইতোমধ্যেই বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে জরুরি আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।

সিফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএন রাঘবন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে ভারত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২.৮ বিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি করলেও চলতি বছরে মাত্র ৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে, যা বড় ধরনের সংকেত। নতুন শুল্কের কারণে ভারতের সামুদ্রিক খাবারের দাম চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের তুলনায় অনেক বেশি, যেখানে মার্কিন শুল্ক ২০-৩০ শতাংশ মাত্র।

এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য এশিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো মার্কিন বাজারে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্থান দখল করতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন। ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যে পাঠানো চালান ফেরত পাঠাতে পারছেন না, কারণ এতে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ জরিমানা গুণতে হবে।

রাঘবন বলেছেন, সংকট কাটানোর জন্য বিকল্প বাজার খোঁজা একমাত্র উপায়। যদিও ব্রিটেনের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তবে তা কার্যকর হতে কিছু সময় লাগবে।

অন্যদিকে, সরকারের কাছে তারা সস্তা ঋণ সুবিধা, কার্যকরী মূলধনের ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি, সুদ ভর্তুকি এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২৪০ দিনে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে প্যাকেজিংসহ প্রক্রিয়াগত খরচের জন্য।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উপকূলীয় রাজ্যগুলোর লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চিংড়ি রপ্তানি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শুধু অর্থনীতিই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। তাই সরকারের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি, না হলে এই খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version