আঞ্চলিক ভাষায় যার নাম আকাশমনি অথবা আকাশি। কেউ কেউ আবার একাশি গাছ বলেও থাকে। এটি Eucalypteae গোত্রের উদ্ভিদ। এটি প্রকৃতিগত ভাবে অস্ট্রেলিয়ান উদ্ভিদ।
বলছি ইউক্যালিপটাস গাছের কথা। অভিযোজন ক্ষমতা ও দ্রুত বর্ধনশীলতার কারনে সারা বিশ্বেই এখন ইউক্যালিপটাস বৃক্ষ পাওয়া যায়। ইউক্যালিটাস বৃক্ষে রয়েছে এক বিশেষ ধরণের তেল। অধিক পরিমানে তেল থাকার কারনেই এটি বেশ দাহ্য। অস্ট্রেলিয়াতে একে অগ্নি সৃষ্টিকারী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলে অগ্নিযোগের ঘটনাকে এই ইউক্যালিপটাস বৃক্ষকে দায়ী করা হয়েছে।
এছাড়াও এই গাছের আরও কিছু অপকারী দিকও রয়েছে। এই গাছটি অতিরিক্ত মাত্রায় প্রশেধন করে অর্থাৎ মাঠি থেকে পানি শোষন করে বাতাসে প্রেরণ করে। ইউক্যালিপটাস গাছ আশেপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকার ও ভূগর্ভের প্রায় ৫০ ফুট নিচের পানি শোষন করে আকাশে উঠিয়ে দেয়। যার ফলে মাঠিতে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। এই গাছের আশেপাশে অন্য কোন গাছ জন্মাতে পারেনা। কারন, এই গাছের পাতায় প্রচুর পরিমানে টক্সিন থাকায় আশেপাশের মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে।
অতি মাত্রায় প্রশেধনের কারনে মাটির মিনারেল গুলো আয়ন আকারে বের হয়ে যায়। যার ফলে দেশীয় গাছগুলো হুমকির মুখে পরে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই গাছের চারা উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। কিন্তু কম দামের দ্রুত বর্ধনশীলতার কারণে দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে। ক্ষতিকর এই বৃক্ষরোপণে জনগনকে নিরোৎসাহিত করতে হবে এবং এর পরিবর্তে অন্যান্য বৃক্ষ ও ফলজ উদ্ভিদ লাগাতে উৎসাহিত করতে হবে।
মো. ইয়াছিন আরাফাত


