জাকিয়া সুলতানা প্রীতি ||
ভয়ের সিনেমা দেখে ভয় পায় না কিংবা পেছনে কে দাঁড়িয়ে আছে,ঘরে কেউ হাঁটছে কি না-এসব অনুভূতি হয় নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল।তবে এরকম অনুভূতি আনন্দকর না হলেও এক্ষেত্রেও ক্যালরি খরচ হয়,এবং এরকম আরো অনেক উপকারিতা গবেষণা করে বের করা হয়েছে।
ক্যালরি খরচ হয়:ভয়ের সিনেমা দেখার কারণে শরীর থেকে ক্যালরি খরচ হয়।কারণ,ভয়ের সিনেমা দেখার কারণে আপনি মানসিক চাপে থাকেন,ফলে “স্ট্রেসফুল স্টিমুলি” নিংসৃত হয়।এর প্রভাবে আরও নিংসৃত হয় এড্রেনালিন হরমোন,যা হৃদস্পন্দনের গতি বাড়িয়ে শরীরের জমিয়ে রাখা কর্মশক্তি খরচ করে।
আমেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজের শারীরিক পরিশ্রম ও ক্যালরি গণনা যন্ত্রে মতে, ১৪০ পাউন্ডের একজন মানুষকে ১৮৪ মতো ক্যালরি খরচ করতে প্রায় ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে যা কি না আপনি ভয়ের ছবি দেখার মাধ্যমে হয় যাচ্ছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আমেরিকার “স্ট্রেস” নামক জার্নালে আরকটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে,ভয়ের সিনেমা দেখার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে,কিন্তু একটি ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য।রক্তসন্ব্ঞাল ক্ষমতা বাড়ানো,বিশেষত সংক্রমণরোধক শ্বেত রক্ত কণিকার প্রবাহের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটে।ফলে শরীরের জীবাণুর সাথে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।
মন মেজাজ ভালো রাখে:নেতিবাচক মনোভাবের বিরুদ্ধে “স্টিমুলি”তৈরি হওয়ার কারণে ভয়ের সিনেমা দেখার কারণে মন মেজাজ ভালো থাকে,মানুষ অস্বস্তি ও হতাশা কম অনুভব করে।
তবে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ভয়ের সিনেমা দেখা একটা ভয়ঙ্কর অভিঙ্গতা হতে পারে।ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের করা এক গবেষণায় দেখা যায়,গবেষণায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী শৈশবে দেখা কোনো ভয়ের সিনেমার অভিঙ্গতা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন।
সূত্র:বিডিনিউজটুয়েন্টিফোরডটকম