মাত্র ২৮ বছর বয়সেই ক্যারিয়ারে অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন নাট্যকার মোসাব্বের হোসেন মুয়ীদ। এবার তিনি লিখলেন নিজের ২০০তম নাটক—যা নাট্যজগতে তাকে এক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
শুরুর গল্প: টাংগাইল থেকে ঢাকার পর্দায়
টাংগাইল জেলার সন্তান মুয়ীদের লেখালেখির শুরু ফেসবুকে ছোট ছোট গল্প দিয়ে। ধীরে ধীরে তিনি দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দেন—মুগ্ধ ব্যাকরণ, ব্যাঞ্জনবর্ণ, ও আমার বোন না, এ বিটার লাভ স্টোরি। একক নাটকের পাশাপাশি তিনি ধারাবাহিক নাটকেও রেখেছেন নিজের স্বতন্ত্র ছাপ। বিশেষ করে ‘বদমাইশ পোলাপাইন’ এবং ‘যত্ন’ তাকে তরুণ দর্শকদের মাঝে ব্যাপকভাবে পরিচিত করেছে।
সাহসী গল্পের নেপথ্যে
জনপ্রিয় পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ’র সাথে মুয়ীদের সহযোগিতায় নির্মিত ‘লাঞ্চ’ এবং ‘নাস্তা’ নাটক দুটি আলোচনায় আসে তাদের সাহসী গল্পের জন্য। মুয়ীদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “নাস্তা’র শুটিংয়ের দিন কিছু শিল্পী স্ক্রিপ্ট পড়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, কাজ না করারও কথা তুলেছিলেন। কিন্তু বান্নাহ ভাই সাহস দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নাটক দুটি তৈরি হয় এবং সিস্টেমের অনিয়ম, অবিচার, গুম ও খুনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে। এই কাজগুলোই আমাকে ভিন্নভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।”
দ্বৈত পরিচয়: নাট্যকার ও আইনজীবী
শুধু নাট্যকার নয়, মুয়ীদ বর্তমানে একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবেও কাজ করছেন। দুই পেশার প্রতি সমান টান অনুভব করেন তিনি। তার ভাষায়—“নাটক বা আইন—দুটোই মানুষের জন্য করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। তাই আমি দুটো পেশাকেই ভালোবাসি।”
আগামী পরিকল্পনা
বর্তমানে মুয়ীদ বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগী। দ্রুত সনদ পেয়ে পূর্ণাঙ্গ অ্যাডভোকেট হয়ে সমাজের বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতিতেও যুক্ত হয়ে নিজের জন্মস্থান টাংগাইলের মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্ন দেখেন।
অনুভূতি: ২০০ নাটকের মাইলফলক
২০০ নাটকের মাইলফলক ছোঁয়ার অনুভূতি সম্পর্কে মুয়ীদ বলেন, “অসাধারণ লাগছে। আমি আজীবন লিখে যেতে চাই। লিখা ও নাটকের মাধ্যমে সমাজের অন্যায়-অনিয়ম ফুটিয়ে তুলতে চাই।”