বলিউডের জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার, পরিচালক ও অভিনেত্রী ফারাহ খানের জীবন সবসময় আলো ঝলমলে ছিল না। পর্দার আড়ালে তিনি মা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পাড়ি দিয়েছিলেন এক কঠিন ও বেদনাময় সময়। একাধিকবার কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি (আইভিএফ) গ্রহণ করেও ব্যর্থ হন তিনি। সেই সময় মানসিক যন্ত্রণায় সারাদিন কান্নায় ভেঙে পড়তেন ফারাহ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে ফারাহ বলেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রথম দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি গভীরভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। “তখন আমি প্রায় প্রতিদিন কাঁদতাম। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও মন আরও খারাপ থাকত। সেই সময়েই আমি ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির শুটিং করছিলাম, কিন্তু ভিতরে ভিতরে প্রচণ্ড কষ্টে ভুগছিলাম,” বলেন তিনি।
২০০৪ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক শিরীষ কুন্দরকে বিয়ে করেন ফারাহ খান। বয়স কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় এবং শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে আইভিএফ চিকিৎসা শুরু করেন।
তবে প্রথম দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি তৃতীয়বারের চেষ্টায় সফল হন। ২০০৮ সালে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের — এক ছেলে ও দুই মেয়ের — মা হন ফারাহ। নিজের জীবনের এই অধ্যায়কে তিনি এখন অনুপ্রেরণার অংশ হিসেবেই দেখেন। তিনি বলেন, “আমার গল্প হয়তো অনেক নারীর জন্য সাহসের বার্তা হবে। মা হওয়ার স্বপ্ন যত কঠিনই হোক, হাল ছাড়া উচিত নয়।”
সিএ/এমআরএফ


