বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ১৯৯৪ সালের মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন এখনও পর্যন্ত একাধিক সম্পর্কের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা এমন এক বিশেষ ব্যক্তির কথা প্রকাশ করেছেন, যার সমর্থন ছাড়া হয়তো তিনি বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিততে পারতেন না।
সুস্মিতা জানান, তাঁর প্রথম প্রেমিক ছিলেন রজত তারা। শুধুমাত্র প্রেমিক নয়, রজত ছিলেন সুস্মিতার স্বপ্নপূরণের মূল সহায়ক। মুম্বাইয়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির সময় রজত তার নিজের চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দেন, যাতে সুস্মিতা পুরো মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারেন। সুস্মিতার কথায়, ‘রজত সেই সময়ে তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন আমার জন্য। সে ছিল অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য। তার সমর্থন ছাড়া আমি মুম্বাইতে এক মাসও স্থায়ী হতে পারতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রজত নিজের স্বপ্ন ত্যাগ করেছিলেন যাতে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। আমার প্রতি তার ভালোবাসা এবং বিশ্বাস আজও অটুট। আমার যা কিছু অর্জন হয়েছে, তার পেছনে তার অবদান অপরিসীম।’
রজত শুধু সুস্মিতার ব্যক্তিগত জীবনে নয়, তাঁর পরিবারকেও আশ্বস্ত করেছিলেন। কঠিন সময়ে তিনি সুস্মিতার মাকে বলেছিলেন, ‘আমি সবসময় সুস্মিতার পাশে থাকব।’ সেই সময় রজত একটি পোশাক সংস্থায় কাজ করতেন, কিন্তু তিনি সব কিছু ত্যাগ করে সুস্মিতার স্বপ্নপূরণের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।
মিস ইউনিভার্স জয়ের পর দু’জনের পথ আলাদা হয়ে যায়। তবে সম্পর্ক না থাকলেও সুস্মিতার কাছে রজতের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা আজও অটুট রয়েছে। সুস্মিতা তাঁর জীবন এবং ক্যারিয়ারে যে ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল সমর্থন পেয়েছেন, তার উল্লেখ করে তিনি প্রায়শই সাক্ষাৎকারে রজতের কথা বলেন।
সুস্মিতার পরবর্তী সম্পর্কগুলোর কথাও উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অভিনেতা রণদীপ হুদার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মডেল রোমান শলের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়েছিলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে খবর আসে, তিনি ব্যবসায়ী ও ক্রিকেট প্রশাসক ললিত মোদির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ললিত মোদি নিশ্চিত করেন, তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে।
সুস্মিতা সেনের জীবন, সম্পর্ক এবং ক্যারিয়ার প্রমাণ করে যে, জীবনে সঠিক সময়ে প্রাপ্য সমর্থন এবং আস্থা অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তাঁর প্রথম প্রেমিক রজতের অবদান সুস্মিতার বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পথে এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
সিএ/এমআর


