কোরীয় সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ এমসি মংকে ঘিরে সম্প্রতি বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিনোদনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়ান হানড্রেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চা গা-ওনের সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে—এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে।
একাধিক কোরীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিবাহিত নারী চা গা-ওনের সঙ্গে এমসি মংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অভিযোগে বলা হয়, এই সম্পর্কের সময় চা গা-ওন নাকি তাঁকে বড় অঙ্কের অর্থ ও বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুজনের ব্যক্তিগত কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার দাবিও সামনে আসে।
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন এমসি মং। তিনি জানান, তাঁকে জড়িয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো ভিত্তিহীন এবং এসবের বিরুদ্ধে তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
ফাঁস হওয়া কথোপকথনের রেকর্ড সম্পর্কেও কড়া অবস্থান নেন এই গায়ক। তাঁর দাবি, রেকর্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কথোপকথনের রেকর্ডটি বানানো এবং বাস্তব ঘটনার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।
উল্লেখ্য, এমসি মং ২০২৩ সালে চা গা-ওনের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ান হানড্রেড প্রতিষ্ঠা করেন। চলতি বছরের জুনে তিনি প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এ প্রসঙ্গে এমসি মং জানান, চা গা-ওনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পেশাদারিত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। প্রতিষ্ঠান ছাড়ার সিদ্ধান্তও তিনি নিয়েছিলেন কোম্পানির সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করেই।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে আলাদা বিবৃতি দিয়েছে ওয়ান হানড্রেড কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, অভ্যন্তরীণ যাচাইয়ে এমসি মং ও চা গা-ওনের কথোপকথনের যে রেকর্ড ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পাদিত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের শিল্পী ও ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ালে আমরা তা বরদাশত করব না। ভিত্তিহীন জল্পনা ও সমালোচনা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সিএ/বিই


