বলিউড সুপারস্টার সালমান খান এবার আদালতে গেছেন নিজের পরিচয় ও অধিকার রক্ষার দাবিতে। কোনো ফৌজদারি মামলা নয়—এবার তাঁর অভিযোগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে। কারণ, অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি, কণ্ঠস্বর, সংলাপ, নাচের স্টেপ ও ভিডিও ব্যবহার করে অনলাইনে নানান ধরনের ভুয়া বাণিজ্যিক কনটেন্ট তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং ভক্তরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সালমান।
গত কয়েক বছরে এআই ও ডিপফেক প্রযুক্তির বিস্তারে বলিউড তারকাদের মুখ ও কণ্ঠস্বর নকল করে ভুয়া কনটেন্ট বানানো সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আদালতে সালমান জানান—কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও গোষ্ঠী তাঁর জনপ্রিয়তা ও পরিচয় ব্যবহার করছে অনুমতি ছাড়াই। এটি তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার, মর্যাদা ও প্রচারের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত।
সালমানের আবেদনের পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয় দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছে—অভিনেতার ছবি, কণ্ঠস্বর, সংলাপ, নাচের ভঙ্গি বা ভিডিও ব্যবহার করে কোনো কনটেন্ট তৈরি বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সব পক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ফলে সালমান খানকে ব্যবহার করে এআই–নির্ভর ভুয়া কনটেন্ট তৈরির ওপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি হলো।
এর আগে একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁর সাবেক প্রেমিকা ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি বিকৃত করে অনলাইনে ব্যবহারের অভিযোগে আদালতে গেলে রায় যায় তাঁর পক্ষেই। শুধু সালমান বা ঐশ্বরিয়া নন—এআই অপব্যবহার ঠেকাতে সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে গেছেন কণ্ঠশিল্পী কুমার শানু, আশা ভোসলে, অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও অনিল কাপুরও। এসব মামলায় আদালত বারবার ব্যক্তির গোপনীয়তা, মর্যাদা ও প্রচারের অধিকারকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
বিচারকদের মতে, ডিপফেক ভিডিও, এআই–তৈরি ছবি বা ভুয়া বিজ্ঞাপন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করে এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিকর।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, সালমান খানের এই আইনি পদক্ষেপ ভবিষ্যতে এআই–অপব্যবহারের বিরুদ্ধে তারকাদের লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে থাকবে।
সিএ/এএ


