–জুবায়ের ইবনে কামাল
বাংলা সিনেমাতে নকল জাকিয়ে বসেছে অনেক আগেই। কাহিনী, গান, এমনকি সিনেমার নামও নকল করেছে অনেক নির্মাতা। সবশেষ সিনেমার পোষ্টারও করা হয়েছে নকল। বিদেশী পোস্টারের মাথা কেটে অথবা পুরোপুরি কপি করে চালিয়ে দেয়া হয়েছে নিজেদের সিনেমার নামে। দেশে যখন চলছে এরকম অবস্থা কেইবা জানতো দেশের এক তরুন ক্রিয়েটিভ পোষ্টার বানানোর জন্য তৈরী হচ্ছে।
অর্নিল হাসান রাব্বি। দেশের সিনেমার নান্দনিক পোস্টার তৈরীতে বর্তমানে রাখছেন বিশেষ ভূমিকা। ইতিমধ্যে ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘নবাব’, ‘বস টু’, ‘ধ্যাততিরিকি’, ‘ইয়েতি অভিযান’ ‘ডেঞ্জার জোন’ ‘ইন্সপেক্টর নটি.কে’সহ প্রায় ডজনখানেক সিনেমার পোষ্টারের ডিজাইন করেছেন তিনি। এসব পোস্টার দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও কুড়িয়েছে বেশ প্রশংসা।
ঢাকা পলিটেকনিক্যালে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়্ব পড়াশোনা করেছেন অর্নিল হাসান। পড়াশোনা শেষ করে জাজ মাল্টিমিডিয়ায় ইন্টার্নি করতে আসেন।অর্নিল। যোগ্যতার ঢেকুরে সেখানেই চাকরী পান অর্নিল হাসান রাব্বি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিট্যাল মার্কের্টিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এত কিছু থাকতে কেনইবা সিনেমার পোষ্টার তৈরীতে হাত দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্নিল হাসান রাব্বি চ্যানেল আগামীকে বলেন, ‘বিদেশী পোষ্টের মাথা কেটে নিজেদের আর্টিস্টের মাথা লাগিয়ে পোষ্টার তৈরী করা দেখে খুবই বিরক্ত লেগেছিলো। যদিও এটা আমার কাজ না তবে এটা আমার দেশের সিনেমার কিছুটা হলেও অসম্মান। আর আমি মনে করি নিজের দেশের সিনেমার পাশাপাশি সিনেমার পোষ্টারও দেশের সিনেমার রিপ্রেজেন্ট করে। তাই বিরক্ত হয়ে নিজেই সিনেমার পোষ্টারের কাজে হাত দেই। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজও উৎসাহ দিয়েছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রথম পোস্টারেই খুব ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। দেশ-বিদেশ থেকে প্রশংসা পেয়েছিলাম। এতটা সফল হবো ভাবিনি। এরপর থেমে থাকিনি। একে একে তৈরী করেছি প্রায় ডজনখানেক পোষ্টার। সেগুলো অনেক জায়গায় আলোচিত হয়েছে। মজার ব্যপার হলো, আমার ডিজাইন করা পোষ্টার দেখে অনেকেই ভাবেন এটা দেশের বাইরের কোন ডিজাইনারের তৈরী করা।’
অর্নিল হাসান রাব্বি ছোটবেলা কাটিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে। সিনেমা পোষ্টার নিয়ে তার ভবিষ্যৎ ইচ্ছা হলো বাংলাদেশের সিনেমার পোষ্টার তৈরীতে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করা।