মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে শহীদদের স্মরণে লাল ব্যাজ ধারণ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ব্যক্তিবর্গ। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য চত্বর থেকে বিজয় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি অগ্রণী ব্যাংক, প্রশাসনিক ভবন ও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ প্রদক্ষিণ করে জারুলতলায় এসে শেষ হয়।
এরপর সকাল ১১টায় আলোচনা সভা এবং বিকেল ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী বিজয় দিবসের কর্মসূচি সম্পন্ন হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) ও সভার আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। এছাড়া প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, চাকসু প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ঐক্যের মাধ্যমেই জাতির বড় বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কর্তৃত্ববাদী শক্তির অবসান ঘটাতে পেরেছি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই বিজয় দিবস আমাদের শেখায়—ঐক্যের মাধ্যমেই একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্পায়ন ও সামগ্রিক উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চাকসুর সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের স্বাধীনতা লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ফসল। তিনি সাম্প্রতিক ক্যাম্পাস পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সব ছাত্রসংগঠনকে শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তানি শাসনের নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। স্বাধীনতার পর বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হলেও ২০২৪ পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মোতাহের উদ্দিন
চবি প্রতিনিধি
সিএ/জেএইচ


