২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের তুলনায় অন্তত তিন মাস পিছিয়ে যেতে পারে—এমন আভাস দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এ পাবলিক পরীক্ষা শুরু হলেও আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের কারণে সময়সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেব্রুয়ারিতে কেন পরীক্ষা সম্ভব নয়
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করার রেওয়াজ থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই ধারাবাহিকতায় ব্যাঘাত ঘটে। ২০২৬ সালে নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং শিক্ষক-কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। এ কারণে ওই সময়ে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন বাস্তবসম্মত নয় বলে মত শিক্ষা প্রশাসনের।
রমজান ও ঈদুল ফিতরের প্রভাব
নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। পাশাপাশি ২০২৬ সালের মার্চের শেষ দিকে পালিত হবে ঈদুল ফিতর। রোজা ও দীর্ঘ ঈদের ছুটির সময় পাবলিক পরীক্ষার মতো বড় পরিসরের আয়োজন পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর মূল্যায়নে, এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা অন্তত তিন মাস পিছিয়ে নেওয়ার দিকেই ঝুঁকছে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বক্তব্য ও সম্ভাব্য সময়সূচি
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ এবার কার্যত নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এপ্রিলের মাঝামাঝি কিংবা মে মাসের শুরুতে পরীক্ষা শুরুর সম্ভাবনা মাথায় রেখে একটি খসড়া সময়সূচি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সিএ/জেএইচ


