২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে। দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা শেষ হয় বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।
এবার পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে মোট এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কেটে নেওয়ার নিয়ম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, “এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। এবারের নতুন যোগ হওয়া মানবিক গুণাবলি বিষয়ের কারণে ১৫ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন রাখা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো এইচএসসি বা সমমানের সিলেবাস অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হলো জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন ১৫। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০। ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তনের নিয়মও কার্যকর থাকবে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর বিবেচনা করা হবে। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে জিপিএর নম্বর যোগ করেই মেধাতালিকা চূড়ান্ত হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা এবার আরও কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কলেজে আসন রয়েছে মোট ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৫ হাজার ১০০, সরকারি ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৬ হাজার ১টি এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি আসন নির্ধারিত।
সব মিলিয়ে এমবিবিএস কোর্সে আসন ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি।
সিএ/এএ


