ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘গণভোট’কে কেন্দ্র করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে এই নির্দেশনা পাঠানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিতর্কের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দ্রুত সরে এসে জানায়—এ নির্দেশনাটি ‘ভুলে জারি’ হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তা বাতিল করা হবে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক (সংস্থাপন) এ এস এম সিরাজুদ্দোহা বলেন, সরকারের অবস্থানই তাদের অবস্থান। এই বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত না থাকায় নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করা হবে। তিনি জানান, নির্দেশনাটি ‘ভুলে জারি’ হয়েছে এবং নতুন আদেশে তা দ্রুত বাতিল করা হবে।
গত বুধবার প্রশাসন শাখার পরিচালক মো. মাসুদ হোসেনের স্বাক্ষরিত আদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গণভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাতে ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব নির্দেশনার মধ্যে ছিল—বিদ্যালয় চত্বরে ব্যানার টানানো, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গণভোটের ধারণা ও সাংবিধানিক ভিত্তি সম্পর্কে অবহিত করা, জুলাই জাতীয় সনদ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, নাগরিক অধিকার-দায়িত্ব তুলে ধরা, ভুল তথ্য প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করা এবং অভিভাবকদের গণভোটে ভোট দিতে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উৎসাহিত করার নির্দেশনাও।
নির্দেশনাটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও শিক্ষা অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন—প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা কতটা যুক্তিযুক্ত। সমালোচনার মুখে অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
সিএ/এএ


