আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। হঠাৎ বদলি আদেশ ও চলমান আন্দোলনের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান জানান, সকালে তারা ডিজি ও সচিবকে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলেন যে আন্দোলন চললেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যেন আওতামুক্ত রাখা হয়। কিন্তু বিকেলে জানতে পারেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সকালে বৈঠক হলে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার আয়োজন করা হতো, কিন্তু বৈঠক না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপরও রোববার থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হোক—এটি তারা চান না বলে জানান তিনি। দুই দিনের বিলম্ব বড় কোনো সমস্যা তৈরি করবে না বলেও মন্তব্য করেন।
অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু জায়গায় শিক্ষকরা অভিভাবকদের চাপের মুখে পড়েছেন এবং অনেকে উত্তেজিত হয়েছেন। তবে বছরের পড়াশোনা শেষ হওয়ায় দুই দিন পর পরীক্ষা হলে বড় সমস্যা হতো না।
তিনি জানান, আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে, তবে পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে। বদলি চাকরিরই অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন থামবে না।
এর আগে সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবির চলমান আন্দোলনের মধ্যেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ ডিসেম্বরের আদেশে ৪২ জন আন্দোলনকারী শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করে। তালিকায় আন্দোলনের পাঁচ শীর্ষ নেতা—খায়রুন নাহার লিপি, মো. শামছুদ্দীন মাসুদ, মো. আবুল কাশেম, মো. মাহবুবর রহমান ও মো. মনিরুজ্জামান—অন্তর্ভুক্ত আছেন। এসব শিক্ষককে পার্শ্ববর্তী জেলায় বদলি করায় কারও নিজ জেলায় থাকার সুযোগ থাকছে না।
সিএ/ইরি


