ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও কানাডার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বিষয়ক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ডিসিসিআইর গুলশান সেন্টারে আয়োজিত এ বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংসহ উভয় দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী জানান, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ–কানাডা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি ১.৩২ বিলিয়ন এবং আমদানি ৯০১.০৯ মিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি কানাডা বাংলাদেশের ২০তম বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্তমানে এদেশে বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১৩২.৮৩ মিলিয়ন ডলারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ প্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, আইটি, ডিজিটাল অবকাঠামো, স্মার্ট লজিস্টিকস ও কোল্ডচেইন ব্যবস্থাপনায় কানাডীয় বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি চামড়া, পাট, সাইকেল, সিরামিক, তৈরি পোশাক, ঔষধ, হিমায়িত খাদ্য, সফটওয়্যার ও বিপিও সেবা খাতে রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানান।
কানাডার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার ও চিফ ট্রেড কমিশনার সারা উইলশো বলেন, কানাডার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এসএমই হওয়ায় বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্য এখন জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, কানাডা শিক্ষাখাতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে এবং বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। দক্ষতা উন্নয়ন খাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়তে পারে বলে মত দেন তিনি। অটোমোটিভ ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে কানাডার শক্ত অবস্থান রয়েছে এবং এসব খাতে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে বলেও তিনি জানান। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নিয়মিত যোগাযোগ ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, ভোকেশনাল ট্রেনিং, নার্সিং, অ্যাগ্রো-টেকসহ বিভিন্ন খাতে কানাডা কাজ করার সুযোগ দেখছে। বৈঠকে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালেম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং কানাডার সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েসও উপস্থিত ছিলেন।
সিএ/এমআরএফ


