আজ (২০ নভেম্বর) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি, ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময় এবং এ-চালানসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকবে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মতিঝিল অফিস থেকে উল্লিখিত সব গ্রাহকসেবা বন্ধ হবে এবং এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়ানো হবে। বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি এ ধরনের সেবা প্রদান করে না বলেও উল্লেখ করা হয়। তাই ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় অফিসেও এই কার্যক্রম বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে।
গত ২২ জুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মতিঝিল অফিসের ক্যাশ বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করে আধুনিকায়নের নির্দেশনা দেন। পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গ্রাহকসেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পূর্বেও দুইজন গভর্নর একই উদ্যোগ নিলেও সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
সম্প্রতি মতিঝিল অফিসের সার্ভার জালিয়াতির ঘটনায় ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আত্মসাত ও আরও ৫০ লাখ টাকার আত্মসাতের চেষ্টা ধরা পড়ে। ঘটনায় মামলা ও তদন্ত চলছে। এরপর থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় এবং সব ব্যাংক শাখায় প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। তবে ভোগান্তিমুক্ত সেবার কারণে গ্রাহকেরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই বেশি প্রাধান্য দেন। সেপ্টেম্বর হিসাব অনুযায়ী, তিন লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র গ্রাহকদের হাতে রয়েছে, যার ৩০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের মাধ্যমে।
সিএ/এমআরএফ


