রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২৭ অক্টোবর) নবম বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন (জেইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দুই দশক পর এই উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বৈঠকে পারস্পরিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানি, বিমান ও সমুদ্র যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের প্রতিনিধি দল এ বৈঠকের মাধ্যমে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সম্পর্কই নয়, জনগণের কল্যাণ এবং আঞ্চলিক উন্নয়নেও গুরুত্বারোপ করেছে।
বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই বৈঠক কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নয়, এটি জনগণের কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি, বাণিজ্য, কমার্স, আইটি এবং খাদ্য খাতে যে আলোচনা হয়েছে তা সরাসরি মানুষের উপকারে আসবে। আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চাই।”
পাকিস্তানের প্রতিনিধি আলী পারভেজ মালিক বলেন, “বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারেরও কম। আমাদের লক্ষ্য ট্রেড ভলিউম বাড়ানো এবং কৃষি ও জ্বালানি খাতে নতুন সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করা।”
বৈঠক শেষে উভয়পক্ষ একে অপরের আতিথেয়তা ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংযোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সিএ/এমআর


