বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনি মাঠ ছাড়ছেন না ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুবকর সরকারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে রুমিন ফারহানা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান দেন, তিনি আসন্ন নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ-বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে তিনি হাঁস প্রতীক চাইবেন বলে জানা গেছে।
সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন রুমিন ফারহানা। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে আসনটি বিএনপি ছেড়ে দিয়েছে তাদের জোট শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী জুনায়েদ আল হাবীবকে।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের বোঝার বাইরে। আল্লাহর এ পরিকল্পনায় আমার বাবা (অলি আহাদ) ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাব্বুল আলামিন কী অদ্ভুত পরিকল্পনা—২০২৬ সালে এসে ধানের শীষের জোয়ারের বিপক্ষে আমাকে স্বতন্ত্র লড়াই করতে হচ্ছে। আল্লাহর পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা মানুষের বোঝার বাইরে।’
নিজের নির্বাচনি সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেন প্রতিটা মানুষের চোখে কতটা আশা, ভালোবাসা, আস্থা এবং বিশ্বাস। মানুষ যে ভালোবাসা এবং আস্থা-বিশ্বাস আমার প্রতি রেখেছে, আমি যেন তার উপযুক্ত প্রতিদান দিতে পারি।’
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রুমিন ফারহানার সঙ্গে বিএনপির সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে একই আসন থেকে বিএনপির জোট প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী জুনায়েদ আল হাবিবও তার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
সিএ/এএ


