দেশের মানুষ এখন মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায় সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর—‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে এ আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি জানান, ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য—‘মানবাধিকার : আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে কেউ যেন মৌলিক মানবাধিকারের বাইরে না থাকে—তা নিশ্চিত করতে মানবাধিকার রক্ষাকে প্রতিদিনের দায়িত্ব হিসেবে দেখার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের’ মধ্য দিয়ে গেছে, যেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ—যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন—তারা মিথ্যা মামলা, কারাবাস, গুম, শারীরিক নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।
নাগরিক স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান বিএনপির এই নেতা। একই সঙ্গে যারা আজও নির্যাতন–নিপীড়নের মুখোমুখি—তাদের প্রতিও জানান সহমর্মিতা।
দারিদ্র্যকে আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দারিদ্র্য দূরীকরণ একটি অর্জনযোগ্য লক্ষ্য। এ জন্য মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নতুন যাত্রায় সবাইকে অংশ নিতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য মনে করিয়ে দেয়—মানবাধিকার কেবল একটি দিনের বিষয় নয়; প্রতিদিনই অধিকার হরণের বিরুদ্ধে নজরদারি ও প্রতিকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস, মিথ্যা মামলা ও দীর্ঘদিন ধরে যে পরিস্থিতি তিনি মোকাবিলা করেছেন—তা একটি ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
সিএ/এএ


