বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রক্ষণশীল পরিবেশে বড় হলেও বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত ও আলোকদিশারি। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। সমাজে নারীর পিছিয়ে পড়া তিনি হৃদয়ঙ্গম করেছিলেন। উপলব্ধি করেছিলেন—শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ।”
তিনি আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারীদের আলোয় ফিরিয়ে আনতে নারীশিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ প্রথম গ্রহণ করেন বেগম রোকেয়া। নারীমুক্তির আহ্বান জানাতে গিয়ে সামাজিক রক্ষণশীলতার তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়লেও তিনি ছিলেন অদম্য, অবিচল এবং কর্মনিষ্ঠ। তাঁর তীক্ষ্ণ লেখনী সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ধ্বনি হয়ে উঠেছিল।
তারেক রহমান বলেন, “সংসার, সমাজ ও অর্থনীতির কেন্দ্রে নারীকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নারীর প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য শিক্ষা ও স্বাবলম্বিতাকে তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর কর্মময় জীবন নারীসমাজকে আরও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শ্রদ্ধা নিবেদন
এক পৃথক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, “বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের এক অক্লান্ত পথিকৃৎ। তিনি বিশ্বাস করতেন—শিক্ষাই নারীকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করবে। নারীর উন্নয়ন ও স্বাধীনতার জন্য শিক্ষার বিস্তারই ছিল তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বেগম রোকেয়ার জীবনদর্শন ও আদর্শ বাস্তবায়নই দেশের নারীসমাজকে আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
সিএ/এএ


