মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ যে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন, তা ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে গ্রেপ্তার হলেই রায় কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১ ধারায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল না করলে কোনো বিলম্ব মার্জনার সুযোগ নেই; ফলে এ সময়সীমা অতিক্রম করলে রায় কার্যকরের পথে আর বাধা থাকবে না।
এদিকে রায় প্রকাশের এক দিন পরও ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের অসুস্থতায় রায়ের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো সম্ভব হয়নি। রায় হাতে পেলেই ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং ভারতের কাছে আসামি হস্তান্তরের উদ্যোগ নেবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরানোর অনুরোধ জানিয়ে নোট ভারবাল পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে।
তবে দিল্লির অবস্থান অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, রায়ের ফলে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বরং বিষয়টি ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করেই থাকবে। তারা মনে করছেন, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ থাকায় ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরাও অনিশ্চিত। ফলে নয়াদিল্লি ঢাকার অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দেবে।
সিএ/এমআরএফ


