ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৌশলগত বিবেচনায় বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তবে ৬৩টি আসন ফাঁকা রেখেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব আসনে শরিক দলের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে। ইতোমধ্যে শরিকদের জমা দেওয়া সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা পর্যালোচনা করে বিএনপি একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকার ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক তৎপরতা এবং বিজয়ের সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে।
সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, নিবন্ধিত শরিক দলগুলোকে নিজেদের দলীয় প্রতীকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে— এই বাধ্যবাধকতাও আসন বণ্টনে বড় ভূমিকা রাখছে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, চলতি নভেম্বরের মধ্যেই এসব ফাঁকা আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই জোট নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। আলোচনার ওপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে বা একই সঙ্গে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে দলের ঘোষিত কয়েকটি আসনে স্থানীয় দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নির্দেশনায় বিরোধ মেটাতে কাজ চলছে। প্রয়োজন হলে মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঢাকায় এনে সমঝোতা করানো হচ্ছে। সম্প্রতি কুমিল্লা-৯ আসনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের হস্তক্ষেপে এমন দ্বন্দ্বের সমাধান হয়েছে।
বিএনপি আরও জানায়, মিত্রদের জন্য যেসব আসন ছাড়ার কথা, সেগুলো নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর আরপিওতে পুনঃসংশোধন না হলে নিবন্ধিত শরিকদের তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতেই হবে। অন্যদিকে জোট শরিকরা সময়মতো প্রচারে নামতে পারার স্বার্থে দ্রুত মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
এখন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোটসহ আরও কিছু ইসলামী ও বামপন্থি দলকে নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনেরও চেষ্টা করছে বিএনপি। এদের কয়েকটি নিবন্ধিত হওয়ায় শরিকদের সংখ্যা বাড়লে আসন বণ্টনেও সমন্বয় করতে হতে পারে। তবে বিএনপির মূল লক্ষ্য— যেখানে বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেখানেই উপযুক্ত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া।
সিএ/এমআরএফ


