জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণকে সময়োপযোগী ও গণতন্ত্রসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করে নির্বাচনের পরিবেশ সুসংহত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেশবাসীর প্রত্যাশার প্রতিফলন। এতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত হবে। দেশের সাধারণ মানুষ এ ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এটি একটি বাস্তবধর্মী অগ্রগতি বলেও তারা উল্লেখ করেন।
জোটের নেতারা আরও বলেন, “আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর দেশের সব রাজনৈতিক দল এখন থেকে নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করবে। গণতন্ত্রের বিকাশ ও জনগণের আস্থার জন্য এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।”
তারা মনে করেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত দেশের ইতিহাসে এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে, যা জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জোট প্রধান মোস্তফা জালাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোট মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল আমিন বেপারি, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রকিব, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ইউনাইটেড লিবেরাল পার্টির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান এবং প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার এই আহ্বান একটি নতুন আশা জাগিয়েছে। তারা দেশবাসীকে আহ্বান জানান নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিশ্চিত করতে।
সিএ/এমআরএফ


