বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, একটি ইসলামী দলের নায়েবে আমির দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ‘নো হাংকি পাংকি’ ধরনের বক্তব্য দেওয়া রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না। সাধারণ মানুষ এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করবে না; বরং উপহাস ও অবজ্ঞার মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের গোডাউন সড়কের বশির ভিলায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, “‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো রাজনৈতিক দলের আদর্শিক ভাষা হতে পারে না। যে ব্যক্তি এটি বলেছেন, তিনি একজন দায়িত্বশীল নেতা ছাড়াও একজন ডাক্তার। এমন ভাষা তার কাছ থেকে আশা করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের নির্বাচন ভিন্ন ও ব্যতিক্রমধর্মী। এজন্য আমরা গণসংযোগে গুরুত্ব সহকারে নেমেছি। বিগত ১৭ বছর ধরে জুলাই আন্দোলনসহ আমরা মাঠে থেকে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্তভাবে কাজ করেছি এবং এখনও করছি। লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে আমরা সুদৃঢ় ঐক্যের মধ্যে রয়েছি। এই ঐক্যই আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।”
এ্যানি সতর্ক করেন, “আমাদের মধ্যে এখন সুদৃঢ় ঐক্য দরকার, যেমনটি বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল। জুলাইয়ে যে ঐক্য ছিল, যদি তা না থাকে তাহলে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সুযোগ নিতে পারবে। কিন্তু আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
সভায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শাহিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. হাছিবুর রহমান, বাফুফে সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ নেতারা।
আবুল হোসেন সোহেলের সঞ্চালনায় জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল হাশেম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় শ্রমিক দলের জেলা কমিটিসহ বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সিএ/এমআরএফ


