দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের বাইরে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বরে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। নতুন তথ্য অনুযায়ী, তিনি নভেম্বরের ২০–২১ তারিখে সৌদি আরব গিয়ে পবিত্র ওমরা পালন করবেন। ওমরা শেষে তিনি লন্ডনে ফিরে আসবেন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেবেন। দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় হিসেবে নভেম্বরের শেষ দিক বা ডিসেম্বরের শুরু ধরা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেশে ফেরার পর তারেক রহমান রাজধানীর গুলশান-২ অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে অবস্থান করবেন। বিএনপি ওই বাড়ির সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এই বাড়ি ১৯৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার তারেক রহমান ঐ ঐতিহাসিক ঠিকানায় বসবাসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম জানান, গুলশানের ওই বাসায় পূর্ণাঙ্গ সংস্কার চলছে। বাড়ির অভ্যন্তর ও বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিক প্রযুক্তি অনুযায়ী জোরদার করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম আনা হচ্ছে এবং জাপান থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি শিগগিরই পৌঁছাবে। এর আগে দু’টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে। গাড়ির অনুমোদন পাওয়া গেছে, তবে অস্ত্রের লাইসেন্স এখনও হাতে আসেনি।
তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছেন। দেশে ফেরার আগে বিদেশে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার সময়সূচি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় চলছে। সরকারের অনুমোদন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পরই তারেকের জন্য দেশের ভিতরে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফেরার সময় তারেক রহমান সরাসরি দলের বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দলের বিভিন্ন স্তরের প্রস্তুতি সভা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে দেশে আগমনের সময়সূচি এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশি ও রক্ষণশীল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
সিএ/এমআর


