বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে দাফন করা হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটার কিছু আগে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা তিনটা তিন মিনিটে জানাজা শুরু হয়ে তিনটা পাঁচ মিনিটে শেষ হয়। জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ আসতে থাকে। দুপুরের আগেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, খামারবাড়ি, কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের সড়কগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
জানাজা শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় জাতীয় পতাকায় মোড়া মরদেহবাহী গাড়িতে করে খালেদা জিয়ার মরদেহ জিয়া উদ্যানে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সমাধিস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কফিন কাঁধে নিয়ে যান। সামরিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দাফন সম্পন্ন হয়।
দাফনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বিএনপির শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নীরবে দাঁড়িয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে দেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয় এবং আজ সাধারণ ছুটি পালিত হয়।
সিএ/জেএইচ


