আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন। সংগঠনটি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব করে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনের ফলস্বরূপ জনগণের প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তকে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত, পেশাদার ও নিরপেক্ষ সিভিল সার্ভিসের অংশ। তাদের কাজ হলো রাষ্ট্রীয় নীতি বাস্তবায়ন, আইনানুগ দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচনে সমান সুযোগ, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
তবে সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক জনসভায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত মন্তব্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের এক রাজনৈতিক জনসভায় জনাব শাহজাহান চৌধুরীর অনভিপ্রেত বক্তব্য বিষয়টি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনটি এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রশাসন পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। জনগণের আস্থা অর্জন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
সিএ/এমআরএফ


