ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুদকের পরিচালক ঈশিতা রনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে ডিএনসিসির প্রশাসকের বিরুদ্ধে কোরবানির পশুর হাট ইজারা, ব্যাটারিচালিত রিকশার নিয়ন্ত্রণ, নগর আয় ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। এই অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুদক বলছে, যেসব অভিযোগ রাষ্ট্রীয় স্বার্থ, নগরবাসীর ক্ষতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত—সেগুলোকে গুরুত্ব সহকারে যাচাই-বাছাই করা হবে। অভিযোগগুলো সত্য হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সারাদেশের ১,৮৭৩ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ও ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার মোহাম্মদ এজাজকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি এখনও সেই পদে বহাল আছেন।
প্রশাসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও সমালোচনা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে রাজধানীর উত্তর অংশের উন্নয়ন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দুদক জানিয়েছে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হবে এবং সত্য প্রমাণিত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করা হবে।
সিএ/এমআরএফ


