ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এই তথ্য জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব এবং ভীতিকর পোস্ট দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো ভূমিকম্পে কম প্রবণ অঞ্চলে কম্পনের মাত্রা সাধারণত ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয় না।
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের জন্য ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারেননি। ২০২৩ সালে ভারতের কিছু অংশে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর এমন গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে ভারত ও পাকিস্তানে একই ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে। তখন বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোন সময়, কোথায় এবং কতটা শক্তিশালী ভূমিকম্প হবে তা পূর্বাভাস করা সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পন প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মাইকেল ব্রুনো বলেন, এই মুহূর্তে এমন কোনো বিজ্ঞান, ম্যাজিক বা জাদুবিদ্যা নেই যা ভূমিকম্পের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, সব পদ্ধতি ব্যবহার করেও ভূমিকম্পের পূর্বাভাসে কোনো সফলতা পাওয়া যায়নি এবং বিশ্বাসযোগ্য পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ভূপদার্থবিদ্যার গবেষক প্রফেসর এগিল হোকসন বলেন, ভূমিকম্প কখন হবে তা নির্দিষ্টভাবে বলা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
সিএ/এমআরএফ


