সারা দেশে ভূমিকম্পে হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে বাংলাদেশ এখন যেকোনো সময় ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদীর মাধবদীকে কেন্দ্র করে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে ১০ জন মারা যায় এবং চার শতাধিক মানুষ আহত হন।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রব জানান, বাংলাদেশ যে টেকটনিক প্লেটের ওপর অবস্থান করছে সেখানে ৭ বা ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অস্বাভাবিক নয়। অতীতেও এ অঞ্চলে ৮-এর বেশি মাত্রার একাধিক ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন, “রিখটার স্কেলের বড় ভূমিকম্প হওয়ার শতবর্ষের চক্র ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। তাই যেকোনো সময় বড় ধরনের কম্পন হতে পারে, আমাদের প্রস্তুতি জরুরি।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির বলেন, গত কয়েক দশকে রাজধানী ও আশপাশে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন। ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার জানান, ১৯১৮ সালে দেশের ভেতরে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। তিনি বলেন, “বারবার বলা হলেও যথাযথ প্রস্তুতি ও মহড়া এখনো পর্যাপ্ত নয়। দুর্যোগ পরবর্তী বাজেট থাকলেও বাস্তব পদক্ষেপের ঘাটতি রয়েছে।”
সিএ/এমআর


