নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা সামনে এগোতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মা-বোনদের কোরআনের আলোতে শিক্ষিত ও সুসংগঠিত করতে পারলে তারা হাফেজা, আলেমা, মুহাদ্দিসা বা স্কলার হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের সব স্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এটি শুধু নারী ক্ষমতায়নের জন্য নয়, বরং জাতির সমগ্র অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।’
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর শহিদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে নিবরাস মাদরাসা আয়োজিত ‘হিফজুল কোরআন অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা কোরআন তিলাওয়াত, ইসলামী গান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে তাদের প্রতিভা উপস্থাপন করেন।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আমাদের মা-বোনদের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, হজরত আয়েশা (রা.) ও হজরত খাদিজা (রা.) এবং অন্যান্য সাহাবিয়াত উম্মাহাতুল মুমিনিনরা সমাজ পরিবর্তন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানে নারীদের উপস্থিতি সমাজে ন্যায় ও সাহস প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিবরাস মাদরাসা ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নতুন দিনের স্বপ্ন দেখার সময় এসেছে। ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যকে সম্মান না দিলে নিজেও সম্মান আশা করা যায় না। মতপার্থক্য থাকলেও বিভেদকে অতিক্রম করে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। এটি কালেমা তাইয়েবায় নিহিত, যা আমাদের জাতিকে সংহত ও শক্তিশালী করতে সহায়ক।’
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সরকার নারী শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। এটি যদি যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য স্থায়ী প্রভাব ফেলবে। তবে এই সুযোগ হাতছাড়া হলে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই দেশীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এমন পরিবেশ গড়ে উঠুক যেখানে নারীরা শিক্ষায় ও কর্মে পুরুষদের সমানভাবে অংশ নিতে পারে। এতে সমাজের সব স্তরে উন্নয়ন হবে এবং আগামী নির্বাচনে দেশের জন্য একটি ভালো সরকার গঠন হবে।’
সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সিএ/এমআরএফ


