জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটের ব্যালটে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে, যা নিয়ে সরকার ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ভোটারদের কাছে প্রশ্নটি থাকবে—“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”
ব্যালটে থাকা চারটি মূল প্রশ্ন বা বিষয় নিম্নরূপ:
ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ. আগামী সংসদ দুই কক্ষবিশিষ্ট হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিন ভোটাররা এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত জানাবেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে এবং সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে জনমতের গুরুত্ব বাড়বে।
সিএ/এমআরএফ


