আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটার, ভোটের কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা ও আইন হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট প্রবর্তন করছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যা উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৮ নভেম্বর। উদ্বোধনের পর পরবর্তী চার সপ্তাহ ভোটাররা নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ স্বাক্ষরিত ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের সভার কার্যবিবরণী থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার, দেশের অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন হেফাজতে থাকা ভোটাররা আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করতে পারবেন, যা সম্পূর্ণভাবে আইনি জটিলতা মুক্ত।
কার্যবিবরণীতে আরও জানানো হয়েছে, আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ও বিদেশে অ্যাপটির প্রচারণা চালানো হবে। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অ্যাপ যাচাই-বাছাই ও টেস্ট সম্পন্ন করে স্থিতিশীল সংস্করণ প্রকাশ করা হবে। একই দিন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন কার্যক্রম সরাসরি প্রদর্শন করা হবে। পোস্টাল ব্যালটের পার্সোনালাইজেশন কার্যক্রম শুরু হবে ২৩ নভেম্বর থেকে। বিদেশে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হবে ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিদেশ থেকে পোস্টাল ব্যালট ফেরত আসা শুরু হতে পারে আগামী বছরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে, এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।
নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তফসিল ঘোষণার আগে প্রস্তুতকৃত প্যানেলের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ প্রবাসী ও অভ্যন্তরীণ ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধনের অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী ধাপ নির্ধারণ করা হবে। পোস্টাল ব্যালটের কিউআর কোড স্ক্যানের জন্য ১৪০টি কিউআর কোড রিডার ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনি বাজেটে এই কার্যক্রমের জন্য আনুমানিক ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


