মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা, সামাজিক পরিচয় ও শ্রমের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। জলজ জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই দেশে শুধু পরিবেশ নয়, বরং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে জেলেদের সামাজিক নিরাপত্তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ৭ম সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।
প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা
ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমা রয়েছে, যেখানে অসংখ্য জলজ প্রাণী ও মাছের প্রজাতি বসবাস করে। তবুও এই বিপুল সামুদ্রিক সম্পদ এখনো সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তিনি জানান, মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া ঘোষণা ও প্রাকৃতিক মাছ সংরক্ষণে সরকার ইতোমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে, তবে এসব উদ্যোগকে আরও সমন্বিত ও সংগঠিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
জেলেদের ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ
তিনি বলেন, দেশের প্রাণীজ প্রোটিনের বড় অংশ আসে মাছ, ডিম ও প্রাণীজাত পণ্য থেকে, যা উৎপাদন করেন মূলত ক্ষুদ্র খামারি ও নারী শ্রমিকরা। কিন্তু এই অবদান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে কালভার্টের অভাব ও জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।
দূষণের প্রভাব ও করণীয়
মৎস্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক মাছের বৈচিত্র্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ, কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য ও শিল্প দূষণ মাছের আবাসস্থল ও খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে।” তিনি জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব জোরদারের আহ্বান জানান।
সূত্র: বাসস।
সিএ/এমআরএফ


