বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী তাকে অপহরণ করেছে—এমনই দাবি তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় করেছেন। শহিদুল আলম বর্তমানে গাজামুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) একটি অংশ কনশেনস জাহাজে ছিলেন বলে জানা গেছে।
ভিডিওতে তিনি বলেন, “যদি আপনি এই ভিডিওটি দেখছেন, বুঝবেন—আমরা সমুদ্রে আটকা পড়েছি। আমাকে অপহরণ করেছে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী।” তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় অভিযোগ তুলে বলেন, গাজায় চলছে গণহত্যা, এবং তা বন্ধে বিশ্বজুড়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। শহিদুল তার সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের ফিলিস্তিনিদের পাশে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে আহ্বান জানান।
শহিদুলের এই আপডেটের আগে তিনি সামাজিক মাধ্যমেও লিখেছিলেন, কনশেনস জাহাজটিতে সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন—কারণ এই দুই পেশাকে ইসরায়েল বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করে বলে তার দাবি—এবং তারা গাজার মানবিক অবরোধ ভাঙতে এসে স্বাস্থ্য, তথ্য ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই যাচ্ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের পরিকল্পনায় ছিল “রেড জোন” হিসেবে চিহ্নিত নিরাপত্তাজনিত সীমান্তসীমায় পৌঁছানো; সেখানে আগে অন্যান্য ফ্লোটিলাদের আটক করা হয়েছিল।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা বরাবর গাজার ওপর চলমান সামরিক অভিযান ও অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে এসেছে; গত কয়েকদিনে আন্তর্জাতিক কয়েকটি নৌযানকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটকায় এবং বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে আটক করার খবর মিডিয়ায় আসে। শহিদুলের ভিডিও বার্তা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শহিদুল আলম নিজে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এবং সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ওপর হামলা ও মানবিক সংকট তুলে ধরে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলেন। বাংলাদেশের ব({
})ছাত্ৰ ও মানবাধিকার অঙ্গনে তিনি সমালোচিত ও সমর্থিত দুই প্রান্তেই পরিচিত। এ ঘটনায় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বা খোঁজখবর নেওয়া কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার এখনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে কনশেনস বা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরকারি বিবৃতি প্রকাশ পেলে সেই তথ্য অনুসারে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
সিএ/এমআর